অনেক ক্লান্ত থাকায় রাতে তাড়াতাড়ি খেয়েই ঘুমিয়ে গেলাম। পরেরদিন ভোর ৫টায় ঘুম ভেঙ্গে গেল লঞ্চ চলার ঘরঘর শব্দে।
জেগে উঠলাম ৩ জনেই। মনে হলো নদীবক্ষে
দেখা না হলে জীবনটাই অধরা। আমরা রুম থেকে বেরিয়ে পুরো লঞ্চের চারদিকে চক্কর দিচ্ছি, আসলে থইথই জলের পূর্ব-পশ্চিম বোঝাই মুশকিল।
সময় পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু মামার দেখা নেই, বাঘমামার মতই অধরা। তবে একটা বিষয় আবিস্কার করলাম বনভূমিতে সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত সেভাবে দেখা যায় না, ওরা গাছের আড়ালেই হারিয়ে যায়।
একফাঁকে ক্যান্টিনে গিয়ে ভোরের চা, বিস্কুট খেয়ে এলাম, আর রোকেয়াপুর জন্য নিয়েও এলাম। অগত্যা ফিরে কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দিয়ে নাস্তা খেয়ে নিলাম পেট ভরে। নাস্তা ছিল জম্পেস। খিচুড়ি, বেগুণ ভাজা, ডিম ভুনা আর স্পেশাল ছিল আমের আচার পেয়াজ মরিচ দিয়ে ভর্তা।
একসময় লঞ্চ এসে থামল কটকায়। আমরা দ্রুত রেডি হয়ে ছোট নৌকা করে কটকা বনভূমি দেখতে রওনা দিলাম। এটা মংলা বন্দর থেকে ৯০ কিমি দূরে।
এটাকে জামতলা বিচও বলে অনেকে। প্রায় ৩ কিমি হেঁটে বিচে যেতে হয়। বনের ভেতর হাঁটতে হাঁটতে কত বিচিত্র গাছ দেখছিলাম। গাইড বারবার তাড়া দিচ্ছিল কিন্তু আমিতো আসলে গিয়েছি গাছ দেখতেই।
যাক পথিমধ্যে বানর, হরিণের সাথে দেখা হলো। শুরুতেই টাইগার ফার্ণের ঝোপ এই কটকায়। অনেক জাম গাছ লাগানো হয়েছে এখানে। তাই হয়তো জামতলা নামকরণ।
আসাযাওয়া মিলে ৬ কিমি। রোকেয়া আপুকে স্যালুট এমন দূর্গম যাত্রায় উনিও সমতালে হেঁটেছেন।
ক্রমশ:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন