https://www.facebook.com/groups/212029772564407/permalink/1805967283170640
দুপুরে ফিরে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়েই কটকার শরণখোলা রেঞ্জে হরিণের বিচরণ কেন্দ্র দেখাতে নিয়ে গেল।
গ্রুপে ঘুরতে গেলে আসলে নিজের ইচ্ছেমত ঘুরার অবকাশ নেই। শুধু দৌঁড়ের উপর ছুটতে হয়। এখানে গিয়ে আমার আর হরিণ দেখতে ইচ্ছে করেনি। কারণ দুপুরেই একঝাক হরিণের ছুটাছুটি দেখেছিলাম ফেরার পথে।
তাই আমি ইচ্ছে করেই বললাম আপনারা যান, আমি এখানে এই বীচের ধারে কিছুক্ষণ বসতে চাই। রোকেয়াপুকেও বললাম থেকে যেতে , কারণ দুপুরেই প্রায় ৬ কিমি হেঁটেছেন। এখানে ততটা বাঘের ভয় নেই, আশেপাশে কয়েকটা অফিস দেখলাম ।
আমি মহানন্দে বীচের কাছে গিয়ে অন্য ধরণের সুখ পেলাম। বিচে অনেক বস্তা ফেলানো আছে, কিন্তু কক্সবাজারের মত বালির বীচ না, কাঁদাযুক্ত।কাঁদায় অনেকে পড়ে গিয়েছে দেখলাম। তাই রোকেয়া আপুকে বীচে আসতে নিষেধ করলাম। আমি খুব সাবধানেই পানির কাছে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরেই সূর্যিমামার বিদায়ের রক্তিম আভায় সারা বনভূমি লাল হয়ে উঠলো। এইখানে সাগরের পাড়ে সূর্যাস্ত অসাধারণ হয়ে ধরা দিল।
এক সময় সন্ধ্যা নেমে এলো, আমরা ফিরে এলাম লঞ্চে। বিকেলের মজাদার নাস্তা খেয়ে রুমে ফিরে এলাম, ফ্রেশ হয়ে বিছানায় রেস্ট নিতে নিতে রবীন্দ্রসুর গুনগুনিয়ে চলতেই থাকলো প্রায় ২ ঘন্টা।
রাতে ছিল বার বি কিউ পার্টি। ভেবেছিলাম শাড়ি পড়বো আমরা ৩ জন। ইচ্ছে হলো না আর। আসলে এতো খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল যে এরজন্য নতুন করে আনন্দ পেলাম না।
ক্রমশ:
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন