সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা : পাদাউক গাছ মুগ্ধ হতাম যার বিশালতা আর পাতার বিন্যাসে, কল্পনা ছিল তার ফুল না জানি কেমন হবে? ভর দুপুরে একরাশ রৌদ্র গায়ে মেখে ছুটে গেলাম সেই...

পাদাউকের প্রতি ভালবাসা

পাদাউক গাছ মুগ্ধ হতাম যার বিশালতা আর পাতার বিন্যাসে, কল্পনা ছিল তার ফুল না জানি কেমন হবে? ভর দুপুরে একরাশ রৌদ্র গায়ে মেখে ছুটে গেলাম সেই মুগ্ধতায়। কিছুটা হোচট খেলাম বটে, তবে দেখাতো হলো !! কে সে? হ্যাঁ সে হলো পাদাউক গাছ। ঢাকা শেরাটল হোটেলের সামনে দিয়ে কাকারাইলের মোড়ে যেতে যে রোডটা ব্যবহৃত হয় সেই রোডের দুই পাশে রমনা পার্কের অরুনোদয় গেটের সামনে সারি সারি বিশাল বিশাল প্রাচীণ গাছ দাড়িয়ে আছে। এর পাতাকে দেখতে কিছুটা সোনালু পাতার মতই, সুবিন্যস্ত। বরাবরই মুগ্ধ হই এর পাতার চমকে, কিন্তু এতো বড় গাছের ফুলটা মন দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। একজন মালিকে নিয়ে আমি আর গুরু গাছ চেনার অভিপ্রায়ে একদিন রমনার অরুনোদয়ের গেটে নামলাম। গুরু মহা উৎসাহে সুভাসদাকে নিয়ে গার্ডেনে ঢুকে গেছেন। আমি পদাউক গাছের ডাল ও পাতার বিন্যাসে এতোই মোহিত যে ক্লোজভাবে পাতার ছবি তোলার জন্য ব্যতিব্যস্ত। রাস্তায় তখন সিগনালের জ্যামে কে কাকে ওভারট্যাক করে যাবে সেই প্রতিযোগিতা। আমার আসলে তখন মাথায় ছবি তোলার চিন্তা। হঠাৎ আমি আবিস্কার করলাম আমি ফুটপাতে পড়ে গেছি, ক্যামেরা হাতে ঝোলানো, ভয়ানক ব্যথায় কিছুক্ষন সেন্সলেস।চোখ যখন মে...

মেয়ের নাম অঞ্জন

ও মেয়ের নাম দেব কি ভাবি শুধু তাই ও কালো চোখের 'পরে বসেছে কোন ভ্রমরে জানিনা ডুবলো কি সে রূপের সাগরে... সেই চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে মেয়েরা যা ব্যবহার করে এর নাম সেই অঞ্জন । অঞ্জন গাছের ফুল দেখতে অসাধারণ, আমাদের রমনায় ৩টা গাছ আছে। অনেকদিন থাকে এই ফুল বসন্ত ও গ্রীষ্মকাল, প্রায় ৪ মাস। কালো দেহজুড়ে এই ফুল ফোটে, তারপর ফল হয়। এই গাছের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হলো এর ডাল গুলো একটার সাথে একটা লেগে গিয়ে একাত্ম হয়ে যায়...এটা একটা চমৎকার ব্যাপার। মাঝারি সাইজের গাছ এটা, দেহ কালো এর ,পাতাও কালচে সবুজ, ছোট ছোট। এর বৈজ্ঞানিক নাম Memecylon edule. এটা আসলে দক্ষিন-পশ্চম ভারত ও মায়ানমারের প্রজাতি।

শিউলী ফুলের শুভেচ্ছা

শরৎ আসার আগেই আমি চলে আসি, সবার ঘর রাঙিয়ে দিতে পূজো উপচারে। শিউলী দেখে যে বেরসিক মুখ ঘুরিয়ে তাকে পা দিয়ে মাড়িয়ে চলে যেতে পারে...সে তো আমার বন্ধুই হতে পারে না। শিউলি ফুল (বৈজ্ঞানিক নাম: Nyctanthes arbor-tristis) হচ্ছে (Nyctanthes) প্রজাতিরএকটি ফুল। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমে বাংলাদেশ, ভারত, উত্তরে নেপাল, ও পূর্বে পাকিস্তান পর্যন্ত এলাকা জুড়ে দেখতে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ফুলের সাথে এই ফুলের পার্থক্য এইযে সূর্যের মুখ না দেখতেই শিউলি ফুল ঝরে যায ়। নিছক মালা গাথা ছাড়াও এ ফুলের বোটা দিয়ে রঙ করা যায়। একে অনেক জায়গায় শেফালি ফুলও বলা হয়। বৃক্ষকথার সকল বন্ধুদের তাই শরতে শিউলী ফুলের শুভেচ্ছা ।

ফাইকাসে ভরে গেছে আমাদের পৃথিবী

আজ নেটে বট বা অশ্বত্থ সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়লাম...এতো বিশাল ব্যাপার ঘটিয়ে ফেলেছে ওরা লক্ষ লক্ষ বছরে। এতো সৌন্দর্য আর বিচিত্র সব ফাইকাসে ভরে গেছে আমাদের পৃথিবী। আজ একজনের ফাইকাসের নাম জানার জন্যই আসলে এই খোঁজা। এই বৈচিত্রময় পৃথিবীটা যদি ঘুরে দেখতে পারতাম তাহলে চাক্ষুষ অনেক গাছের সাথে আমার দেখা হতো, ছোট্ট এই জীবনটা অর্থবহ হয়ে উঠতে পারতো, কিন্তু হায় সময় গড়িয়ে যায় সুযোগের অভাবে , তবে বিজ্ঞানকে ধন্যবাদ আমাদের ইন্টারনেটে সারা পৃথিবী দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ‎

গাছ ভালবাসুন গাছ লাগান

সৌদি প্রবাসী Sadrul Anam বাহার ভাই তার মা-বাবার নামে একটা স্কুল বানিয়ে সেই স্কুলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিশুমনে বৃক্ষপ্রেম জাগানোর জন্য এ পর্যন্ত ৩ কিস্তিতে অনেক গাছ লাগিয়েছেন, যার সাথে বৃক্ষকথার অনেকেই জড়িত। তবে যার অনুপ্রেরণায় উনি তার স্কুলে গাছ লাগানোর জন্য অনুপ্রানীত হয় তার কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন বৃক্ষকথার একজন জনক Zayed Farid ভাই। এই বাগানের সব গাছই তার নির্বাচিত। গাছগুলো ২ বছরেই অনেক বড় হয়েছে সবার ভালবাসা ও আন্তরিকতায়। ৩ কিস্তিতে মোট ৩৬ রকমের গাছ লাগানো হয়েছে। গাছ ভালোবাসুন গাছ লাগান, পরিবেশ ধ্বংস করে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, কলকারখানা প্রতিস্থাপন করে নিজেদের ও পরিবেশের যে ক্ষতি আমরা করছি কোন একসময় নিজেই এই ক্ষতির জন্য আফসোস করতে হবে। প্রাকৃতিক এই দূর্যোগ আমাদের কারণেই এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।

শুষনি শাক চেনেন কি?

শুষনি শাক (Marsilea minuta)  হাইপারটেনশন ও ঘুমজনিত সমস্যার মহৌষধ হিসেবে শুসনি শাক ব্যবহার করেন ময়মনসিংহের গারো ও কোচ উপজাতিরা। তারা এর রস ব্যবহার করেন কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ওষুধ হিসেবে। এটিকে শাক হিসেবেও রান্না করে খান তারা। ডঃ অসীমা চাটার্জী এই শাক থেকে এপিলেপ্সির ঔষধ আবিস্কারের পেপার বের করেছেন। বাংলাদেশের সর্বত্রই এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। অনেকে শুষনী আর আমরুলি শাককে একই মনে করেন। আসলে শুষনি শাকে পাতা ৪ ভাজ, কিন্তু আমরুলি হলো ৩। আরেকটা পার্থক্য হলো শুষনী শাক টক স্বাদযুক্ত নয়, কিন্তু আমরুলি টক। এর বৈজ্ঞানিক নাম Marsilea minuta  আমরুল শাক থেকে শুষনি শাক পাতা আকারে বড়। তাছাড়া আমরুল লতানে ছোট গুল্ম উদ্ভিদ হলেও শুষনি সেরকমটি মোটেও নয়। শুষনি শাক