সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সুন্দরবন আমার অহঙ্কার, আমার ভালবাসা

বেণুবর্ণা অধিকারী সুন্দরবন নামের ব্যাখ্যা নিয়ে নানান মত রয়েছে। মত যাই থাক আমার আকর্ষনের বিষয় হতো এর উদ্ভিদ। উদ্ভিজ্জ সুন্দরবনের গাছপালার অধিকাংশই ম্যানগ্রোভ ধরনের এবং এখানে রয়েছে বৃক্ষ, লতাগুল্ম, ঘাস, পরগাছা এবং আরোহী উদ্ভিদসহ নানা ধরনের উদ্ভিদ। সুন্দরবনে এখনো যেতে পারিনি সেভাবে, শুধু করমজলে গিয়েছি। তাই সুন্দরবনের কাছে অপরাধবোধ থেকেই তাকে পাঠ করে আত্মীকরণ করলাম। নিশ্চয় সময় ও সুযোগ পেলে আমি সুন্দরবনে কয়েকদিন থাকব। ৩ দিনের কমার্শিয়াল ট্যুর করে এই ইচ্ছে পূরণ হবে না। পৃথিবীর অন্য অঞ্চলের গাছপালা থেকে এই অঞ্চলের গাছপালার বিশেষত্ব হল, এখানকার প্রায় সব গাছই লবণ সহ্য করতে পারে। দ্বিতীয় বিশেষত্ব হল, এই গাছগুলো নরম কাদার ওপর জন্মায়। তৃতীয়ত, এই সকল গাছ প্রবল বাতাস এবং প্রচণ্ড স্রোতে অসংখ্য শিকড়ের সাহায্যে এই নরম মাটির ওপর সহজেই দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। জোয়ারের পানিতে গাছের গোঁড়া সবসময় ধুয়ে গেলেও গাছের কোনো ক্ষতি হয়না। বাতাস থেকে অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প নেওয়ার জন্য এই গাছেদের শূলের মতো সূচালো শ্বাসমূল থাকে। ১৯০৩ সালে ডি. প্রেইন সুন্দরবনের গাছপালার উপর লিখিত বইয়ে ২৪৫ গণের অধীনে ৩৩৪টি উদ...

"কচুরিপানা বোঝা নয় সম্পদ"

বেণুবর্ণা অধিকারী দেশে কচুরিপানার ব্যবহার না হওয়ায় বিজ্ঞানী ড. মহীউদ্দিন আক্ষেপ করে বলেছেন “হায়রে কচুরিপানা বাংলার কৃষক তোরে চিনল না”। কচুরিপানা হলো ভাসমান এমন একটি প্রাকৃতিক জলজ উদ্ভিদ। অন্য দেশ থেকে এই দেশে এসে সে আমাদের অনেকের কাছে আগ্রাসী জলজ গাছ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকায় এটি খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে, এমনকি ৬ দিনেরও কম সময়ে সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে যায়। ফুল ফোটার ১-২ দিন পর শুকিয়ে যায়। সকল ফুল শুকিয়ে যাওয়ার ১৮ দিন পর বীজগুলো বিমুক্ত হয়। ৫০ দিনের মধ্যে প্রতিটি ফুল হতে প্রায় ১০০০ নতুন কচুরিপানার জন্ম হয়। একটি গাছ থেকে ৫০০০ এর অধিক বীজ উৎপন্ন হয়, এই বীজ ৩০ বছর পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। এই ভয়ঙ্কর আগ্রাসী কচুরিপানাকে দূর করা মোটেও সম্ভব না যতদিন না এটাকে আমরা উপকারী গাছ হিসেবে ব্যবহার না করবো। আমরা যখনই এই পানাকে কাজে লাগাতে পারবো তখনই এই গাছ কমে যাবে। সবকিছুরই ভাল-মন্দ দুই দিকই রয়েছে। ভাল দিকটিকে ফুটিয়ে তোলা চ্যালেঞ্জ। কচুরিপানা যেমন ক্ষতিকর এবং নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক, তেমনই এর উপযুক্ত ব্যবহারে সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলা সম্ভব। পৃথিবীর বেশ কয়েকটি...

এক নজরে বলধা

বেণুবর্ণা অধিকারী বৃক্ষ বা উদ্যান শুধু পরিবেশ ভারসাম্য নয়, আমাদের সৌন্দর্য চেতনা গঠনেও এর বিরাট ভূমিকা। আমাদের মনোজগৎ সাজিয়ে তুলতে সবুজ ও সুন্দরের কোন জুড়ি নেই। শুধু টাকা পয়সা থাকলেই হয় না এর গঠনমূলক ব্যবহার করতে জানাও একটা শিল্প। যা করেছেন ১৯৩৬ সালে জমিদার নরেন্দ্র নারায়ন রায়। তবে বলধা বাগান গড়ার আগে ঢাকার পুরাতন বিমান বন্দরের উল্টা দিকে তিনি নির্মান করেন নিমফ হাউস। গ্রীক দেবীর নামানুসারে নির্মিত অনিন্দ্য সুন্দর এই ভবনে তিনি অর্জুন সহ বহু নাগলিঙ্গম গাছ লাগিয়েছিলেন। বৃটিশ সরকার জমিটি অধিগ্রহন করলে তিনি ওয়ারিতে বলধা বাগানের জমিটি ক্রয় করেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বলধার জমদার ছিলেন রাজ কিশোর রায় চৌধুরী। তার দত্তক পুত্র ছিলেন জমিদার হরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী । তিনি গাজীপুরের বলধা জমিদার বাড়িটি নির্মান করেন। তবে নরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী যখন জমিদার হন ভীষন দেনার ভার মাথায়। স্বীয় বুদ্ধি আর মেধার ফলে নরেন্দ্র নারায়ন রায় চৌধুরী ধীরে ধীরে সেই অবস্থার উত্তরন ঘটান এবং প্রচুর ধন সম্পদের মালিক হন। জমিদারির বাইরেও তাঁর প্রচুর ধন-সম্পদ ছিল। বলধা গা...

আমার কানাইবাঁশি

বেণুবর্ণা অধিকারী যে রঙ ঈর্ষনীয় অনেক ফুলের কাছে। অথচ সে খুবই ক্ষুদ্র, অবহেলিত। " ফুল বলে ধন্য আমি, ধন্য আমি মাটির 'পরে" এটা কানছিঁড়া/ কানাইবাঁশি/ঘাসফুল/কানশিরা/ কানদুলি/ কানাইলতা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Commelina benghalensis. নানাবিধ ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ক্ষুদে গাছ। মূলতঃ জীবানু নাশক গুল্ম। কানের ইনফেকশনে বা চোখের অঞ্জলি হলে এর রস করে দিলে উপশম হয়, গাছকে একটু গরম করে তারপর রস বের করে দিতে হয়। এছাড়া কুষ্ঠ, একজিমা, দাদ রোগেও এর প্রচলন আছে। পোকার আক্রমনের প্রদাহে এর রস লাগালে দ্রুত আরোগ্য হয়। Commelinaceae পরিবারের গাছ। অনেকে একে জোনাকি শাক বা পাতা বলে থাকে। নরম কাণ্ড বিশিষ্ট এই গাছ ছায়ায় নিজেদের কলোনী করে বাস করে। পাতার গোড়ায় ছোট্ট নীল ফুল আর এর পাতার সবুজতা মনকে সজীব করে। অনেকেই একে শাক হিসেবে খেয়ে থাকেন। তবে কি কারণে খান এবং খেতে কেমন জানিনা। এর আরো কোন ব্যবহার কি আছে?

রমনায় বসন্তবরণ

বেণুবর্ণা অধিকারী বসন্তের পরশ নিতে আজ রমনায় গিয়েছিলাম, যেতেই হয়। মস্তিষ্কের ভেতরে যে গেঁথে আছে এমনভাবেই আমি তারে পারি না এড়াতে৷ স্বল্প সময়ের ফুল মাধবির হাতছানিতেই মূলত যাই--" ধাঁয় যেন মোর সকল ভালবাসা প্রভু তোমার পানে, তোমার পানে, তোমার পানে।" এই প্রভু হলো আমার বেঁচে থাকার রসদ আমার প্রকৃতি। রমনায় যে গাছে ফুল দেখা যায় এখন সেগুলো হলো পলাশ, মাধবি, গামারি, কাঞ্চন, গ্লিরিসিডিয়া, বিউমনশিয়া। এখন শ্বেতশিমুলের শেষ সময়। আর লাল শিমুল রমনায় দেখিনি। আগে লাল মান্দার দেখা যেত। অরুনোদয়ের গেট দিয়ে ঢুকে সোজা দুইপাশে যে পলাশ আর মান্দার ছিল এখন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। তার স্থলে শুধু পাম আর পাম। এ সময় কুসুম আর নাগেশ্বরের কচি পাতা দেখলে ফুল বলে ভ্রম হয়। তারাও পলাশ আর শিমুলের রঙে নিজেদের রাঙিয়েছে। আর মনিমালার পাতায় বিদায়ের সুর এখন।

বড় শিয়ালমুতি বনাম জার্মান লতা

বেণুবর্ণা অধিকারী বন্ধুরা আমরা দুই ধরণের লতা -গুল্ম কে বরাবরই একই গাছ বলে চিহ্নিত করি। আপনাদের এই দুটো গাছ নিয়ে যাতে আর কোন সন্দেহ না হয় তাই এই পোস্ট দিলাম। একটা গাছ হলো গুল্ম আর একটা হলো লতা। ফুলেও অনেক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও যে কারণে আমরা ভুল করি সেটা হলো এর পাতার গড়ণে। পাতার আকৃতি কিছুটা কাছাকাছি হলেও গুল্মের পাতা খসখসে আর লতার পাতা কিন্তু তৈলাক্ত। গুল্মের নাম হলোঃ বড় শিয়ালমুতি, কুকশিম, Devil weed, Siam weed, Common floss flower, Jack in the bush, Triffid weed, Paraffin weed, Christmas bush, Camfhur grass. এর বৈজ্ঞানিক নাম Chromolaena odorata (শিয়ালমুতির ছবিসূত্র: Kalyani Banerjee ) আর অপরটি আসাম লতা/ জার্মান লতা, রিফিউজি লতা বা বিকাশলতা। আদিনিবাস আমেরিকা, কালক্রমে সারা পৃথিবীতে আধিপত্য গড়েছে। এটাকে সাধারণত বলা হয় "Mile -a-minute" লতা। তার মানে এই লতা খুবই দ্রুত বাড়ে। বৈজ্ঞানিক নাম Mikania cordata/ Micrantha, পরিবার হলো : Asteraceae কোন কোন অঞ্চলে এর পাতা দিয়ে স্যূপ খাওয়া হয়। জার্মানি লতা মিকানিয়া গণভুক্ত উদ্ভিদ, যারা কয়েক’শ প্রকার সপুষ্পক লতাজাতীয় ...

কোন নামে ডাকিলে তারে....

বেণুবর্ণা অধিকারী আমাদের চারদিকে আছে অফুরন্ত ঔষধি ভাণ্ডার, আমরা অজ্ঞতা আর প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে এই গুল্মলতা বা বৃক্ষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলি অনায়াসেই। আসাম লতা, জার্মান লতা, জাপানি লতা, পাকিস্তানি লতা, রিফিউজি লতা বা বিকাশলতা। আদিনিবাস আমেরিকা, কালক্রমে সারা পৃথিবীতে আধিপত্য গড়েছে। এটাকে সাধারণত বলা হয় "Mile -a-minute" লতা। তার মানে এই লতা খুবই দ্রুত বাড়ে। বৈজ্ঞানিক নাম Mikania scandens. কমন নাম climbing hempvine, পরিবার হলো : Asteraceae কোন কোন অঞ্চলে এর পাতা দিয়ে স্যূপ খাওয়া হয়। জার্মানি লতা মিকানিয়া গণভুক্ত উদ্ভিদ, যারা কয়েক’শ প্রকার সপুষ্পক লতাজাতীয় উদ্ভিদ। মিকানিয়া গণভুক্ত প্রায় ৪৫০ ধরণের প্রজাতি রয়েছে। শরীরের যে কোন জায়গা কেটে গেলে জার্মানি লতার পাতা রস করে লাগিয়ে দিলে কাঁটা জায়গা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় ও দ্রুত কাটা জায়গা জোড়া লেগে যায়। এমনই মহৌষধি গুণ সম্পন্ন এই লতা, তাই বিপদে আপনার বন্ধু হতে পারে । কেমন করে ব্যবহার করতে হয় ? কতকগুলি পাতা ছিড়ে পাটা বা হামানদিস্তায় থেতলে নিয়ে শরীরের কাটা অংশে ঐ থেতলানো পাতা লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখুন, আন...

শালপর্ণী উপাখ্যান

বেণুবর্ণা অধিকারী সব গুল্মই কাছে টানে তার নিজস্ব সৌন্দর্যে। এদের মধ্যে শালপর্ণী একটু অন্য বিধায় অনেক আগ্রাসী গুল্মকলোনীতে এর টিকে থাকা রীতিমত মুশকিল। সে তার আশেপাশে তেমন বংশবিস্তারও করে না বা করতে পারে না৷ নইলে এরও কলোনি দেখা যেত। বিচ্ছিন্নভাবে নানান ধরণের গুল্মের ফাঁকে এই ব্যতিক্রমী পাতা আর ফুলের গাছ কাছে টানবেই। এর পাতা, ডাল আর ফুল ফুল বৈচিত্র্যময়। আগস্ট থেকে নভেম্বরে এই গাছে ফুল ফোটে। বাংলাদেশে দুই রকমের ফুল দেখেছি। সাদা আর গোলাপি। লম্বা বৃন্তে ফুল হয়, কিছুদিন পর পাতলা লম্বা ফলের ভেতর এর বীজ হয়। একেবারে ভিন্নমাত্রার জন্যই আকর্ষিত হই। শালপর্ণীর অনেক নাম: শালপানি, নারিন্দা ঘাস, চালানি, এর বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium gangeticum; সংস্কৃতে:ভিদারীগন্ধা, আঁশুমাটি, ধ্রুব, দীর্ঘমূলা, শালপর্ণী। এটা Fabaceae পরিবারের একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলের জল-হাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এই উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ভারতের কিছু অংশ, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশ প্রভৃতি অঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থায় এই উদ্ভিদের দেখা মেলে।

সপ্তপর্ণীর গন্ধে পাগল-পারা

বেণুবর্ণা অধিকারী কোথাও ছাতিম গাছ দেখবো আর আমি ছুটে যাব না এটা অসম্ভব। তীব্র এক আকর্ষণে যেভাবে রাধা ছুটে যেত কৃষ্ণের বাঁশী শুনে, তেমনই এর সুগন্ধই টেনে নিয়ে যায়। হয়তো এই কারণেই ইংলিশে একে Indian Davils tree বলে। সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই গাছের পাশে দিয়ে বা কাছাকাছি পথ চলতে গেলে এর তীব্র গন্ধ মানুষকে বিমোহিত করবেই। যখন প্রযুক্তি এতটা উন্নত ছিলনা তখন কিছু এলাকা ছাড়া সন্ধ্যার পর অন্ধকার নেমে আসতো সবখানে। ঘরে ঘরে চেরাগ জ্বলতো যার আলো এতটা আলোকিত করতো না। সে সময় মানুষ অনেক গাছের নিচে দিয়ে যেতেই ভয় পেত, আর এমন গন্ধ পেলে রীতিমত আতঙ্কিত হওয়ারই কথা। এছাড়া আরেকটা বিষয় হলো এজমা রোগীরা অনেকক্ষণ এই ফুলের নিচে থাকলে অস্বস্তি বোধ করতে পারে, হয়তো এ কারণেও হতে পারে। যাই হোক এই ফুলের গন্ধ আমাকে এতটাই আকুল করে যে ভাবি যদি আবার জন্ম হতাম আমি তাইলে এই গাছই হতাম। কবিগুরুর এই গাছের প্রতি অনেক ভালবাসা ছিল, তাই শান্তিনিকেতনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট এর সাথে একটা করে ছাতিম পাতা দেয়া হয়। সেখান ছাতিমতলায় ক্লাশ ও আড্ডাও হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম Alstonia scholaris. এর পরিবার হলো ...

ঔষধিগুল্মে সমৃদ্ধ আমার দেশ

 বেণুবর্ণা অধিকারী কাপাসিয়ায় একবার গিয়েছিলাম এক আয়ূর্বেদিকের কাছ থেকে কিছু গাছ চিনতে, এদের ব্যবহার জানতে। তখন সে এই ফুল হাতে দিয়ে বলেছিল এটা মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ চিবিয়ে ফেলে দিন। ভাবলাম কি আর এমন হবে, চিবুলাম। ভয়ানক ঝাল আর মনে হলো মুখটা ভার হয়ে গেছে। দাঁতের ব্যথায় এনেস্থিসিয়া দিলে যেমন হয়। তখন উনি বললেন আমরা কবিরাজরা এই গাছটা দিয়ে দাঁতের ব্যথার প্রাথমিক চিকিৎসা করি। মধ্যরাতে দাঁত ব্যথায় কষ্ট পেলে ডাক্তার কই পাবে? তখন আমাদের স্মরণাপন্ন হয় গ্রামবাসী। আমিও একদিন আমার অফিসের এক সহকারী দাঁত ব্যথায় বাসায় চলে যেতে চাচ্ছে। তাকে বললাম এক কাজ করুন এই ফুলটা কিছুক্ষণ চিবিয়ে ব্যথার জায়গায় দিয়ে রাখুন। এবং কতক্ষন আর ব্যথা থাকে না সেটা জানাবেন। সে দেখলো আধাঘন্টা ব্যথা আর বোঝা যায় না। এই সুন্দর ছোট্ট ফোলা ফোলা ফুলটার নাম হলো বনগাঁদা, সূর্যমুখী ফুলের ছোট ভার্সন বলে একে অনেকে সূর্যকন্যাও বলে। বৈজ্ঞানিক নাম Acmella calva (DC.) এর চাকমা নাম মারহাটিটিগা

Piperaceae পরিবারের পরিচিত গাছ

একই পরিবারের ৪ ধরণের লতা, এদের পরিবার হলো Piperaceae. এরা আমাদের পরিচিত লতা, যার ছবি আমরা দেখি বা ব্যবহার করি। ১) গোলমরিচ, বৈজ্ঞানিক নাম Piper nigrum. মশল্লা হিসেবে প্রায় সব দেশেই এর প্রচলন আছে। কারণ এর রয়েছে যাদুকরী ক্ষমতা যা শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। অন্ত্রের হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। এছাড়া কফ-ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করে। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ছোট্ট এই কালো দানার কি জাদু ক্ষমতা। তাই দেরি না করে এখন থেকেই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন গোলমরিচ। ২) চইঝাল, বৈজ্ঞানিক নাম Piper chaba. চুইলতার শিকড়, কাণ্ড, পাতা, ফুল- ফল সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। এছাড়াও মসলা হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। তবে ঝাল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় হাঁসের মাংস ও গরুর মাংস রান্না করতে। মূলত,রান্নার জন্যে চুইঝালের কাণ্ড ব্যবহার করা হয়। এরও অনেক অনেক ঔষুধি গুণ আছে যা এর আগে অনেক লেখা হয়েছে। ৩) পিপুল, বৈজ্ঞানিক নাম Piper longum. গাছটি এ দেশে দুষ্প্রাপ্য নয়। কিন্তু এর ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম। ঔষধার্থে পিপুলগাছের...

বিলাতী ধনে পাতা

এই পাতাকে এই দেশে অনেকে বিলাতী ধনেপাতা বলে। আসলে এই পাতা বিলাতি নামকরণ কেন হলো? এর বৈজ্ঞানিক নাম Eryngium foetidum. এর পরিবার হলো Apiaceae. অন্যান্য নাম এর culantro, recao, shadow beni, Mexican coriander, bhandhania, long coriander, sawtooth coriander, and ngò gai. এটা আসলে এসেছে Mexico, the Caribbean, Central and South America থেকে, তাই হয়তো এই নামকরণ। এখন এটা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গিয়েছে পর্যটক আর নাবিকদের হাত ধরেই। আপনার অঞ্চলে কি বলে এই ধনেপাতাকে?