সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শালপর্ণী উপাখ্যান

বেণুবর্ণা অধিকারী

সব গুল্মই কাছে টানে তার নিজস্ব সৌন্দর্যে। এদের মধ্যে শালপর্ণী একটু অন্য বিধায় অনেক আগ্রাসী গুল্মকলোনীতে এর টিকে থাকা রীতিমত মুশকিল। সে তার আশেপাশে তেমন বংশবিস্তারও করে না বা করতে পারে না৷ নইলে এরও কলোনি দেখা যেত। বিচ্ছিন্নভাবে নানান ধরণের গুল্মের ফাঁকে এই ব্যতিক্রমী পাতা আর ফুলের গাছ কাছে টানবেই।

এর পাতা, ডাল আর ফুল ফুল বৈচিত্র্যময়। আগস্ট থেকে নভেম্বরে এই গাছে ফুল ফোটে। বাংলাদেশে দুই রকমের ফুল দেখেছি। সাদা আর গোলাপি। লম্বা বৃন্তে ফুল হয়, কিছুদিন পর পাতলা লম্বা ফলের ভেতর এর বীজ হয়। একেবারে ভিন্নমাত্রার জন্যই আকর্ষিত হই।

শালপর্ণীর অনেক নাম: শালপানি, নারিন্দা ঘাস, চালানি, এর বৈজ্ঞানিক নাম: Desmodium gangeticum; সংস্কৃতে:ভিদারীগন্ধা, আঁশুমাটি, ধ্রুব, দীর্ঘমূলা, শালপর্ণী। এটা Fabaceae পরিবারের একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। Image may contain: plant and flower

সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলের জল-হাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এই উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটে। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব আফ্রিকা, বাংলাদেশ, ভারতের কিছু অংশ, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশ প্রভৃতি অঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থায় এই উদ্ভিদের দেখা মেলে।

Image may contain: plant, nature and outdoor

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শুষনি শাক চেনেন কি?

শুষনি শাক (Marsilea minuta)  হাইপারটেনশন ও ঘুমজনিত সমস্যার মহৌষধ হিসেবে শুসনি শাক ব্যবহার করেন ময়মনসিংহের গারো ও কোচ উপজাতিরা। তারা এর রস ব্যবহার করেন কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ওষুধ হিসেবে। এটিকে শাক হিসেবেও রান্না করে খান তারা। ডঃ অসীমা চাটার্জী এই শাক থেকে এপিলেপ্সির ঔষধ আবিস্কারের পেপার বের করেছেন। বাংলাদেশের সর্বত্রই এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। অনেকে শুষনী আর আমরুলি শাককে একই মনে করেন। আসলে শুষনি শাকে পাতা ৪ ভাজ, কিন্তু আমরুলি হলো ৩। আরেকটা পার্থক্য হলো শুষনী শাক টক স্বাদযুক্ত নয়, কিন্তু আমরুলি টক। এর বৈজ্ঞানিক নাম Marsilea minuta  আমরুল শাক থেকে শুষনি শাক পাতা আকারে বড়। তাছাড়া আমরুল লতানে ছোট গুল্ম উদ্ভিদ হলেও শুষনি সেরকমটি মোটেও নয়। শুষনি শাক

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা : পাদাউক গাছ মুগ্ধ হতাম যার বিশালতা আর পাতার বিন্যাসে, কল্পনা ছিল তার ফুল না জানি কেমন হবে? ভর দুপুরে একরাশ রৌদ্র গায়ে মেখে ছুটে গেলাম সেই...

আমার কানাইবাঁশি

বেণুবর্ণা অধিকারী যে রঙ ঈর্ষনীয় অনেক ফুলের কাছে। অথচ সে খুবই ক্ষুদ্র, অবহেলিত। " ফুল বলে ধন্য আমি, ধন্য আমি মাটির 'পরে" এটা কানছিঁড়া/ কানাইবাঁশি/ঘাসফুল/কানশিরা/ কানদুলি/ কানাইলতা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Commelina benghalensis. নানাবিধ ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ক্ষুদে গাছ। মূলতঃ জীবানু নাশক গুল্ম। কানের ইনফেকশনে বা চোখের অঞ্জলি হলে এর রস করে দিলে উপশম হয়, গাছকে একটু গরম করে তারপর রস বের করে দিতে হয়। এছাড়া কুষ্ঠ, একজিমা, দাদ রোগেও এর প্রচলন আছে। পোকার আক্রমনের প্রদাহে এর রস লাগালে দ্রুত আরোগ্য হয়। Commelinaceae পরিবারের গাছ। অনেকে একে জোনাকি শাক বা পাতা বলে থাকে। নরম কাণ্ড বিশিষ্ট এই গাছ ছায়ায় নিজেদের কলোনী করে বাস করে। পাতার গোড়ায় ছোট্ট নীল ফুল আর এর পাতার সবুজতা মনকে সজীব করে। অনেকেই একে শাক হিসেবে খেয়ে থাকেন। তবে কি কারণে খান এবং খেতে কেমন জানিনা। এর আরো কোন ব্যবহার কি আছে?