সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কোন নামে ডাকিলে তারে....

বেণুবর্ণা অধিকারী

আমাদের চারদিকে আছে অফুরন্ত ঔষধি ভাণ্ডার, আমরা অজ্ঞতা আর প্রযুক্তিগত স্বল্পতার কারণে এই গুল্মলতা বা বৃক্ষগুলোকে ধ্বংস করে ফেলি অনায়াসেই।

আসাম লতা, জার্মান লতা, জাপানি লতা, পাকিস্তানি লতা, রিফিউজি লতা বা বিকাশলতা।
আদিনিবাস আমেরিকা, কালক্রমে সারা পৃথিবীতে আধিপত্য গড়েছে।

এটাকে সাধারণত বলা হয় "Mile -a-minute" লতা। তার মানে এই লতা খুবই দ্রুত বাড়ে। বৈজ্ঞানিক নাম Mikania scandens. কমন নাম climbing hempvine, পরিবার হলো : Asteraceae কোন কোন অঞ্চলে এর পাতা দিয়ে স্যূপ খাওয়া হয়।

জার্মানি লতা মিকানিয়া গণভুক্ত উদ্ভিদ, যারা কয়েক’শ প্রকার সপুষ্পক লতাজাতীয় উদ্ভিদ। মিকানিয়া গণভুক্ত প্রায় ৪৫০ ধরণের প্রজাতি রয়েছে।

শরীরের যে কোন জায়গা কেটে গেলে জার্মানি লতার পাতা রস করে লাগিয়ে দিলে কাঁটা জায়গা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় ও দ্রুত কাটা জায়গা জোড়া লেগে যায়। এমনই মহৌষধি গুণ সম্পন্ন এই লতা, তাই বিপদে আপনার বন্ধু হতে পারে ।

কেমন করে ব্যবহার করতে হয় ?
কতকগুলি পাতা ছিড়ে পাটা বা হামানদিস্তায় থেতলে নিয়ে শরীরের কাটা অংশে ঐ থেতলানো পাতা লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে রাখুন, আনুমানিক ৪/৫ ঘণ্টা পর খুলে দেখবেন কাঁটা অংশ জোড়া লেগে গেছে। আর এই পাতা লাগানোর সাথে সাথে রক্তপাতও বন্ধ হয়ে যাবে।

No photo description available.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শুষনি শাক চেনেন কি?

শুষনি শাক (Marsilea minuta)  হাইপারটেনশন ও ঘুমজনিত সমস্যার মহৌষধ হিসেবে শুসনি শাক ব্যবহার করেন ময়মনসিংহের গারো ও কোচ উপজাতিরা। তারা এর রস ব্যবহার করেন কাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ওষুধ হিসেবে। এটিকে শাক হিসেবেও রান্না করে খান তারা। ডঃ অসীমা চাটার্জী এই শাক থেকে এপিলেপ্সির ঔষধ আবিস্কারের পেপার বের করেছেন। বাংলাদেশের সর্বত্রই এ উদ্ভিদটি পাওয়া যায়। অনেকে শুষনী আর আমরুলি শাককে একই মনে করেন। আসলে শুষনি শাকে পাতা ৪ ভাজ, কিন্তু আমরুলি হলো ৩। আরেকটা পার্থক্য হলো শুষনী শাক টক স্বাদযুক্ত নয়, কিন্তু আমরুলি টক। এর বৈজ্ঞানিক নাম Marsilea minuta  আমরুল শাক থেকে শুষনি শাক পাতা আকারে বড়। তাছাড়া আমরুল লতানে ছোট গুল্ম উদ্ভিদ হলেও শুষনি সেরকমটি মোটেও নয়। শুষনি শাক

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা

বৃক্ষকথা, Brikkho-Kotha: পাদাউকের প্রতি ভালবাসা : পাদাউক গাছ মুগ্ধ হতাম যার বিশালতা আর পাতার বিন্যাসে, কল্পনা ছিল তার ফুল না জানি কেমন হবে? ভর দুপুরে একরাশ রৌদ্র গায়ে মেখে ছুটে গেলাম সেই...

আমার কানাইবাঁশি

বেণুবর্ণা অধিকারী যে রঙ ঈর্ষনীয় অনেক ফুলের কাছে। অথচ সে খুবই ক্ষুদ্র, অবহেলিত। " ফুল বলে ধন্য আমি, ধন্য আমি মাটির 'পরে" এটা কানছিঁড়া/ কানাইবাঁশি/ঘাসফুল/কানশিরা/ কানদুলি/ কানাইলতা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Commelina benghalensis. নানাবিধ ঔষধি গুণসম্পন্ন এই ক্ষুদে গাছ। মূলতঃ জীবানু নাশক গুল্ম। কানের ইনফেকশনে বা চোখের অঞ্জলি হলে এর রস করে দিলে উপশম হয়, গাছকে একটু গরম করে তারপর রস বের করে দিতে হয়। এছাড়া কুষ্ঠ, একজিমা, দাদ রোগেও এর প্রচলন আছে। পোকার আক্রমনের প্রদাহে এর রস লাগালে দ্রুত আরোগ্য হয়। Commelinaceae পরিবারের গাছ। অনেকে একে জোনাকি শাক বা পাতা বলে থাকে। নরম কাণ্ড বিশিষ্ট এই গাছ ছায়ায় নিজেদের কলোনী করে বাস করে। পাতার গোড়ায় ছোট্ট নীল ফুল আর এর পাতার সবুজতা মনকে সজীব করে। অনেকেই একে শাক হিসেবে খেয়ে থাকেন। তবে কি কারণে খান এবং খেতে কেমন জানিনা। এর আরো কোন ব্যবহার কি আছে?